বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ। গতকাল বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক দেশগুলোতে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর এমনটা দেখা যায়। এছাড়া কভিড-১৯-এর নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর বিশ্বব্যাপী কভিড টিকা সরবরাহ ও ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
বিভিন্ন দেশের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের হার আবারো বৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্রাজিল ও ভারতে এ হার অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ পালনে জনগণের অসচেতনতার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া নভেল করোনাভাইরাসের নতুন রূপকেও দায়ী করছেন।
রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ২০ লাখ মৃত্যু ঘটতে সময় লেগেছে এক বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু পরবর্তী ১০ লাখ মৃত্যু ঘটেছে মাত্র তিন মাসের মাথায়। রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, বর্তমানে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারে সবার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতি চারটি মৃত্যুর একটি ঘটছে দেশটিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। বিশেষ করে ব্রাজিলের ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে দেশটি সবচেয়ে বেশি গুরুতর অবস্থায় রয়েছে বলেও মন্তব্য ডব্লিউএইচওর।
ডব্লিউএইচওর মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, ব্রাজিলে বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থা চলছে। দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্য বেশ সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এ সময় ব্রাজিলের অধিকাংশ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) কভিড আক্রান্ত রোগী দ্বারা পরিপূর্ণ বলেও জানান তিনি।
বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনায় শীর্ষে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্রে কভিড আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজারে, যা বিশ্বব্যাপী মোট কভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার ১৯ শতাংশ। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গিয়েছে, তিন সপ্তাহ ধরে দেশটিতে শনাক্ত ও মৃত্যুর এ হার আরো বাড়ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, টিকাদান কার্যক্রমের ফলে এ হার দ্রুতই নেমে আসবে। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ লোক এরই মধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে বলেও জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এদিকে কভিড-১৯ শনাক্তের হারে বিশ্বের অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পরই অবস্থান করে নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। সোমবার দেশটির প্রকাশিত কভিড-সংক্রান্ত তথ্যে এমনটা দেখা যায়। ভারতে দিনে এক লাখের ওপরে কভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় সোমবার সব ধরনের শপিং মল, সিনেমা হল, বার, রেস্টুরেন্ট ও উপাসনালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সবচেয়ে বেশি কভিড-১৯ আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্রের রাজ্য সরকার।
ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫১টি দেশে এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখের কাছাকাছি। কভিড আক্রান্ত হয়ে এ অঞ্চলের মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশই হয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানিতে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়