করোনায় সৃষ্ট আর্থিক সংকটে কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে অসংখ্য কিন্ডারগার্টেন। আবার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিকানা বদল হয়েছে অর্থের বিনিময়ে। এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিক্রির এ ধারায় যুক্ত হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও। সম্প্রতি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রি করে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। একইভাবে বেচাকেনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা আরো কয়েকটি উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় ট্রাস্টের অধীনে। আইন অনুযায়ী, এসব উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে ট্রাস্ট পুনর্গঠনের সুযোগ রয়েছে। সেটি অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন সাপেক্ষে হতে হবে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে অন্ধকারে রেখেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয় বেচাকেনা।
আর্থিক সংকটের কারণে সম্প্রতি বিক্রি করে দেয়া উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নাম প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানীর গুলশানে ভাড়া করা ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসা বিশ্ববিদ্যালয়টি কিনে নিয়েছে একটি বড় কনগ্লোমারেট। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের একাধিক সদস্য বিক্রির বিষয়টি বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন। যদিও তাদের কেউই নাম প্রকাশ করে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
একজন ট্রাস্টি সদস্য বলেন, আইন অনুযায়ী আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস করতে কমপক্ষে একশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ অর্থের জোগান দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া করোনার কারণে শিক্ষার্থী ভর্তি ও টিউশন থেকে আয় কমে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবদিক বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কত টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রি করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লেনদেন বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশের সুযোগ নেই। তবে খুব বড় অংকের অর্থ বিনিময় হয়নি।
জানা গেছে, স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য কয়েক বছর ধরেই আর্থিক চাপে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টির বোর্ড। করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সে আর্থিক সংকট আরো বেশি তীব্র হয়ে ওঠে। আর্থিক সংকট মোকাবেলা করতে না পেরেই সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টি বিক্রি করে দিয়েছেন ট্রাস্টিরা। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মূল উদ্যোক্তা ছিলেন চারজন। এরা হলেন রোকেয়া আফজাল রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন, অধ্যাপক মাহবুব আহমেদ ও মো. আমানউল্লাহ। এর মধ্যে তিনজনই ব্যবসায়ী। আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। এছাড়া তাদের প্রত্যেকের পক্ষে তিনজন করে আরো ১২ জন সদস্য ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়