পরম মিত্র ডোনাল্ড ‘আবু ইভাঙ্কা’ ট্রাম্পের সময়ে অনেক বিষয়েই ওয়াশিংটনের কাছ থেকে রীতিমতো অন্ধ সমর্থন পেয়েছে রিয়াদ। ট্রাম্প ক্ষমতাহারা হওয়ার পর সৌদি আরব যে নিজ পররাষ্ট্রনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ‘ব্ল্যাংক চেক’ হারাতে যাচ্ছে, সে বিষয়টি এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। এর পরও শপথ গ্রহণের পর জো বাইডেনের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত প্রথম ভাষণের ধাক্কাটি রিয়াদের জন্য অনেকটাই আকস্মিক ছিল। ওই ভাষণে জো বাইডেন পরিষ্কার করে দেন ইয়েমেনে সৌদি আরবের যুদ্ধে আর সমর্থন দেবে না ওয়াশিংটন। এছাড়া এতদিন মার্কিন-সৌদি সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল। কিন্তু এ পণ্যও এখন আর বাইরে থেকে নেয়ার প্রয়োজন নেই ওয়াশিংটনের। নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে বাড়াতে নিজের ওপরই পণ্যটির অতিরিক্ত সরবরাহ চাপ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে মুসলিম উম্মাহর অবিসংবাদিত নেতৃত্বদানকারী হিসেবে নিজের যে ভাবমূর্তি তৈরি করেছিল সৌদি আরব, সেটিকেও চ্যালেঞ্জ করে বসেছে তুরস্ক। তাতে আবার যুক্ত হয়েছে কাতার ও ইরানের মতো বৈরী দেশগুলো। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে আগেই সঙিন করে তুলেছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর প্রতিক্রিয়ায় তুরস্ক, কাতার, ইরান, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশ এখন ওআইসির পাল্টা জোট সংগঠন দাঁড় করানোর কথা ভাবতে শুরু করে। রিয়াদের আশঙ্কা ছিল, অন্যান্য মুসলিম দেশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পাকিস্তানও এ জোটে যোগ দিতে পারে। ইসলামাবাদকে এ থেকে বিরত রাখতেই চাপে রাখার কৌশল নিয়েছিল সৌদি আরব।
ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি রিয়াদকে এখন হঠাৎ করেই চাপে ফেলে দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে মরচে ধরা পুরনো কূটনৈতিক সম্পর্কগুলোকে আবারো ঝালাই করে নেয়া ছাড়া আর কোনো পথ দেখতে পাচ্ছে না সৌদি আরব। এ কারণেই এখন পাকিস্তানের প্রতি সুর নরম করে এনেছে দেশটি।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়