স্থল সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করতে একটি নতুন আইন পাস করেছে চীন। সীমান্তে বৈরী ভারতের সঙ্গে চলমান অচলাবস্থার মধ্যেই এ আইন দুই দেশের মধ্যে বিরোধকে আরো উসকে দিতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
যদিও নতুন এ আইন প্রণয়নের কারণ হিসেবে বেইজিং বলছে আফগানিস্তানের কথা। এ বিষয়ে চীনের বক্তব্য হলো আফগানিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটিতে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। আগস্টে তালেবানরা ফের দেশটির ক্ষমতা দখলের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশটির পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়া উইঘুরের স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর গোপন আঁতাতেরও আশঙ্কা করছে বেইজিং।
পাশাপাশি স্থল সীমান্ত আইনটি নভেল করোনাভাইরাসের চীনমুখী নতুন সংক্রমণপ্রবাহ ঠেকাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে চীন। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি আইনটি কার্যকর হবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, স্থল সীমান্ত আইনটি চীন-ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনের পথে কাঁটা হয়ে দেখা দিতে পারে। গত বছর ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে হাতাহাতি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় ও চার চীনা সৈন্যের মৃত্যু হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি অচলাবস্থায় মোড় নেয়ার পর থেকেই সীমান্তকেন্দ্রিক কার্যক্রম জোরদার করে তোলে চীন।
চীনের সঙ্গে রাশিয়া, পরমাণু শক্তিধর দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়াসহ ১৪টি দেশের ২২ হাজার কিলোমিটার স্থল সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ভারত ও ভুটানের সঙ্গে দেশটির সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে। বৃহৎ এ সীমান্ত অঞ্চল এখন থেকে নতুন আইনের আলোকেই নিয়ন্ত্রিত হবে।
এ আইনে ৬২টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং স্থল সীমান্ত নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। ভৌগোলিক সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্তের নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করে, এমন কোনো কর্মকাণ্ড শক্তভাবে মোকাবেলা করা হবে।
নতুন আইনে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে সীমান্তে যেকোনো ধরনের আক্রমণ, অনুপ্রবেশ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বেইজিং দাবি করছে, নতুন এ পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সীমান্ত এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের সমন্বয় করা হবে। এর মাধ্যমে ভারত, ভুটান ও নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত তিব্বতের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইনে সীমান্ত বিরোধের ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক সব ধরনের প্রচেষ্ট ব্যর্থ হলে তবেই সামরিক বাহিনী মোতায়েনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়