তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৫৬০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তুরস্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর অন্তত ২০টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬। তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্প আশপাশের দেশগুলোতে, বিশেষ করে লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরাইল, ইতালিতে অনুভূত হয়েছে। বিবিসি বলছে, ইতালিতে প্রথমে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর পরই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়। আশা করছি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুতই এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তুরস্কের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, ‘আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি, সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ তুরস্কের সঙ্গে আছি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে প্রস্তুত ইউক্রেনের জনগণ।’
অপরদিকে ইসরাইল সরকারও তুরস্ককে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, জরুরি সহায়তা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিগত ৮০ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। অবশ্য তুকি কর্তৃপক্ষ বলেছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪।
ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের ফলে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অনেক মানুষ। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ভূমিকম্পে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলও কেঁপে ওঠে।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপে হন্যে হয়ে স্বজনদের খুঁজছেন মানুষ। কেউবা আহতদের উদ্ধারের পর ছুটছেন হাসপাতালের পথে। হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের কান্না আর আহাজারি যেন থামছেই না।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়