হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জনজীবন।
সারা দেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জেও চলছে শৈত্যপ্রবাহ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। মেলেনি কোনো শীতবস্ত্রও।
মঙ্গলবার মনাকষা ইউনিয়নের খড়িয়াল গ্রামের ৭৫ বছরের প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ ভোগুরুদ্দীন ও তার স্ত্রীর সঙ্গে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি জানান, একে তো প্রতিবন্ধী, তার পর আবার মাদকাসক্ত ছেলে বাড়ির সব কিছু বিক্রি করে শেষ করে দিয়েছে। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে শুধু একখানা গোদলা (ছিঁড়া কাপড় দিয়ে এক ধরনের মোটা কাঁথা) গায়ে দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। অনেকের কাছে গিয়েও একখানা কম্বলও পাইনি।
শুধু ভোগুরুদ্দীন ও তার স্ত্রী নয়; নদী ভাঙনে পাঁকা ইউনিয়নের চরপাঁকা গ্রামের মৃত কুড়ানের স্ত্রী শেফালী বেগম (৫০), মাসিদুল হকের ছেলে শিবলী হক (৩৬), আজাহারের ছেলে শরিফুল ইসলাম, মনাকষা ইউনিয়নের পোড়াদিহি গ্রামের হৃদরোগী আবুল কাসেম, হাঁপানি রোগী ভিক্ষুক আসনারা বেগম, মনাকষা শেখপাড়া গ্রামের প্যারালাইসের রোগী আব্দুর রাজ্জাক, পারচৌকা গ্রামের দুচোখ অন্ধ কুমরুল হকসহ ১৫ ইউনিয়নের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের একই ভাষ্য।
তারা বলেন, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে থমকে গেছে জীবনযাত্রার গতি। উপজেলার নদী ভাঙনের শিকার অসহায় ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষেরা জানান, ঠাণ্ডায় তারা বিপদে পড়েছেন। আর্থিক সংকটের কারণে তার শীতবস্ত্র কিনতে না পারায় প্রায় খালি গায়ে থাকতে হচ্ছে।
গরিব শ্রেণির মানুষের সারা দিন মাঠে কাজ করার পর রাতে লেপ না থাকার কারণে ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে রাত পার হচ্ছে। অনেকে আবার ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়