অনেকেই মনে করেন যত বেশি ন্যাড়া হওয়া যায়, চুল তত বেশি ঘন হয়ে ওঠে। এটি আসলে সমাজে প্রচলিত বিশ্বাস বা সংস্কার। এর বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই। প্রকৃতপক্ষে একটা মানব শিশু জন্মের সময় এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার চুলের ফলিকল বা চুলবীজ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মের সময় সব চুল গজানো অবস্থায় না থাকলেও বছর কয়েকের মধ্যে সবগুলো চুলবীজ থেকে চুল গজায়। জন্ম-পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো ফলিকল বা চুলবীজ সৃষ্টি হয় না। প্রতিটি চুলের আবার একটা আয়ু কাল থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে এটা ৩ থেকে ৫ বছর। চুল ও অন্য প্রাণীর মতো শৈশব, কৈশোর ও বৃদ্ধ বয়স অতিক্রম করে। তাই একটি চুল তার সম্পূর্ণ জীবনকালে একই রকম স্বাস্থ্যবান থাকে না।
ন্যাড়া মাথা নিয়ে কী বলছে বিজ্ঞান
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে নিম্নের মতামত ব্যক্ত করেছেন: ১. চুল ফেলে দেয়ার সময় অনেকেই ভাবেন, ত্বকের তলায় না গজানো কিছু গোড়া বা ফলিকল রয়ে গেছে। ভালো করে মাথা কামিয়ে ফেললে সেই গোড়া থেকে চুল বের হবে। কিন্তু এ ধারণা ভুল। কারণ, নবজাতক বা দু’ এক বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ত্বকের নিচে না গজানো কিছু ফলিকল হয়তো থাকতে পারে কিন্তু এর অধিক বয়সের বাচ্চা বা যুবকদের এমন হওয়ার কোনো কারণ নেই। চুল ন্যাড়া করার অর্থ হচ্ছে মাথার ওপরে চুলের যতটুকু অংশ আছে শুধু সেটুকুই ফেলে দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে চুলের ফলিকলের উপর কোনো প্রভাব রাখা সম্ভব হয় না। চুলের স্বাস্থ্যে জিন বা বংশগতির ধারার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাই যত বারই ন্যাড়া করুন না কেন আপনি পরিবারের অন্য সবার মতোই চুলের ধারা পাবেন। ২. ন্যাড়া হওয়ার পরে যে চুল গজায় তা দেখতে এমনিতেই ঘন বলে মনে হয়। তখন মাথায় হাত দিলে মনে হয় চুলের ঘনত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি মোটেই এরকম নয়।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়