প্রোটিন কোষ বৃদ্ধিতে এবং দেহ কাঠামো গড়তে সাহায্য করে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের পেশি, ত্বক, এনজাইম, হরমোন বিল্ডিং ব্লক এবং সব টিস্যুর জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে প্রোটিন। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখা জরুরি।
মুরগির মাংস ও পনির দুটিই প্রোটিনের ভালো উৎস। পনির ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে কার্যকর। পনির হিমোগ্লোবিন উন্নত করে এবং ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, কাশি এবং সর্দির মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতেও সাহায্য করে। এটি শিশুদের জন্যও স্বাস্থ্যকর।
অন্যদিকে মুরগির মাংসের উপকারিতাও অনেক। চর্বি ছাড়া মুরগির মাংসে থাকা প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি দারুণ উৎস। মুরগির মাংস খেলে পেশি শক্তিশালী হয় এবং হাড়ের স্বাস্থ্য তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। মুরগির মাংস অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকিও কমায়।
অনেকে মুরগির মাংস ও পনির দুটিই পছন্দ করেন। এই দুটির মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে 'টাইমস অব ইন্ডিয়া'র এক প্রতিবেদনে।
প্রোটিনের পরিমাণ বেশি কোনটিতে
বেশি প্রোটিন পেতে চাইলে মুরগির মাংস খান। বেশি পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর কেউ যদি নিরামিষভোজী হন, তাহলে তার জন্য প্রোটিনের একটি বড় উৎস পনির। প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগিতে ৩১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। অন্যদিকে ১০০ গ্রাম পনিরে ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
পুষ্টি বেশি
মুরগির মাংস হল ভিটামিন বি ১২, নিয়াসিন (একটি বি ভিটামিন যা আপনার স্নায়ুতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে), ফসফরাস এবং আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস। অন্যদিকে, পনির হল ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। এটি হাড় এবং দাঁত সুস্থ রাখতে, রক্ত জমাট বাঁধতে, পেশি সংকুচিত করতে এবং হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়