টানা কয়েকদিনের জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও কাশি নিয়ে সরকারি একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন খুলনার গৃহবধূ খোদেজা (ছদ্মনাম)। রোগীকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ব্যবস্থাপত্র দেন চিকিৎসক। ওষুধের দীর্ঘ তালিকাসংবলিত ব্যবস্থাপত্রে স্থান পায় অ্যান্টিবায়োটিকও। যদিও ব্যবস্থাপত্রে সঠিকভাবে রোগের বিবরণ উল্লেখ করেননি চিকিৎসক। ওষুধের কোনটি কী কারণে দেয়া হয়েছে, রোগীকে তা-ও জানানো হয়নি। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে ঘটছে এ ঘটনা। অথচ অ্যান্টিবায়োটিকের এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগের কারণে ক্রমেই বাড়ছে নানা জটিলতা।
সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের উদ্যোগে ‘প্যাশেন্ট অ্যাওয়ারনেস অন দ্য র্যাশনাল ইউজ অ্যান্টিবায়োটিক অ্যান্ড ইটস রেজিস্ট্যান্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ব্যবস্থাপত্র দেয়ার এমন প্রবণতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমেই কমে আসছে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। হ্রাস পেয়েছে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতাও। এ অবস্থায় রোগীদের ওপর রিজার্ভ (প্রচলিত নয় এমন) অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ বেড়ে গেছে। এতে দ্রুত কার্যক্ষমতা হারাতে বসেছে বাকি সব ধরনের ওষুধ।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এরই মধ্যে রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিকের বড় চারটি ধরন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে সেফেপিম নামক রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, ৪৯ শতাংশ। এছাড়া লিনেজোলিড ২৩ শতাংশ, টিজেসাইলিন ২০ শতাংশ ও কোলেস্টিন ৮ শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে মেডিসিন, সার্জারি, আইসিইউ, বার্ন ও অন্যান্য ইউনিটে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়