বাংলাদেশের চলার পথে অনেক সময় অনেক বাধা এসেছে, তবে সেসব অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শত বাধা অতিক্রম করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের রূপকল্প অর্জন হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমরা সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারছি বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় সংসদের বিশেষ আলোচনার জন্য সাধারণ প্রস্তাব উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সংসদ নেতা বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কাঠামো তৈরি করা আছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চাই, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা করে রেখেছি। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাংলাদেশ ও আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন রক্ষা পেতে পারে, সেদিকে লক্ষ রেখে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
নিজের দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে যখন কোনো কাজ করতে যাই, দেখি প্রতিটি কাজের ভিত্তি জাতির পিতা তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। এটা আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এরপর দেশে বারবার ক্যু হয়েছে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। যার ফলাফল হিসেবে বারবারই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর আমরা জনগণের ভোটে রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পাই। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। রাস্তাঘাটসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নতি হবে। জনগণ আমাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে বারবার ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে। যার কারণে আজ আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে। ১২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারী মোকাবেলায় তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের কাছে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে টিকার কোনো অভাব হবে না। অনেক উন্নত দেশ বিনা পয়সায় টিকাও দেয় না, পরীক্ষাও করে না। সেখানে বাংলাদেশ বিনামূল্যে কভিড-১৯ পরীক্ষা করার সুযোগ রেখেছে। ধনী-দরিদ্র থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা, সবাই এ টিকা পাচ্ছে, সবাই পাবে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসব।
বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে ভোগ করার বস্তু হিসেবে নেয়নি মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ মনে করেছি। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে মনে করেছি। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। করোনা মহামারী না থাকলে এটাকে আমরা ১৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারতাম। মহামারীর কারণে কিছুটা হলেও এ কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তার পরও আমাদের উন্নয়নের চাকা থেমে থাকেনি। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়