সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের উপায় খুঁজছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।এই লক্ষ্যে তুরস্কসহ আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র; যাতে সিরিয়ার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কূটনীতি শুরু করা যায়। প্রায় ২৪ বছর ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদকে ১২ দিনের অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ওয়াশিংটনের হাতে বিভিন্ন দলের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক উপায় আছে। সেগুলোর একটিকে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল।
মিলার বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই আমরা এই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও সিরিয়ার অভ্যন্তরে প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। আমরা তা চালিয়ে যাব।
মিলার আরও জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আঞ্চলিক নেতাদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত চারদিনে তিনি তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে দু'বার কথা বলেছেন।
মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা বিশ্বের সরকারগুলো সিরিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর সঙ্গে নতুন যোগাযোগ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। একসময় আল-কায়েদার সাথে যুক্ত এই গোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক এবং জাতিসংঘ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় তুরস্কের সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ)-র মতো কিছু বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে। যদিও এইচটিএস-কে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে তুরস্ক।
তবে যুক্তরাষ্ট্র কি সরাসরি এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারাআর (যিনি আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত) সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হন মিলার। তবে তিনি তা সম্পূর্ণভাবে উড়িয়েও দেননি।
মিলার বলেন, আমাদের বিশ্বাস,সরাসরি বা পরোক্ষভাবে প্রাসঙ্গিক সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র জোলানিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তখন তারা বলেছিল,আল-কায়েদা তাকে আসাদের শাসন উৎখাত এবং সিরিয়ায় ইসলামি শরিয়া আইন প্রবর্তনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল।
অবশ্য গত এক দশকে এইচটিএস যা পূর্বে নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল তাদের ইমেজ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছে।
সিরিয়ায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে আরব বিশ্বে রাশিয়া ও ইরানের প্রভাবও কমে গেছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়