যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৬৪৯টির ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে লেবার পার্টি জয় পেয়েছে ৪১২ আসনে। আর সদ্য ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য দল হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (লিব ডেম) পেয়েছে ৭১টি আসন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লেবার পার্টির আসন প্রয়োজন ছিল ৩২৬টি। এর চেয়ে বেশি আসন পেয়ে ১৪ বছর পর প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীলদের সরিয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতা গ্রহণ করল লেবার পার্টি। এরই মধ্যে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন দেশটির রাজা তৃতীয় চার্লস।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রীতি অনুযায়ী রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে গতকাল বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাৎ করতে যান কিয়ার স্টারমার। সেখানে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অন্যদিকে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য দেশবাসীর প্রতি ক্ষমা চেয়ে রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ভাষণ দেন কিয়ার স্টারমার। সেখানে পরিবর্তন আনতে দ্রুত কাজ শুরুর তাগিদ দিয়েছেন তিনি। সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে স্টারমার বলেন, ‘আপনারা আমাদের সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট দিয়েছেন। আমরা আপনাদের বদলানো দিন উপহার দিতে, পরিষেবার মান বাড়াতে ও রাজনীতির প্রতি সম্মান পুনরুদ্ধার করতে সে ম্যান্ডেটকে কাজে লাগাব। এ সরকার মতবাদের ভারে জর্জরিত হবে না। এর উদ্দেশ্য থাকবে কেবলই জনগণের সেবা করা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি যদি জানতে চাই, শিশুদের বাসস্থান হিসেবে যুক্তরাজ্য আদর্শ কিনা, তাহলে আপনাদের অনেকেরই উত্তর হবে নেতিবাচক। যুক্তরাজ্যের প্রতি আপনাদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত প্রতিদিনই আমার সরকার কাজ করে যাবে।’
নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বয়স ৬১ বছর। পেশায় আইনজীবী স্টারমার রাজনীতিতে নাম লেখান ৫১ বছর বয়সে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে লেবার পার্টিতে যোগ দেন তিনি। সেবার হলবর্ন ও সেন্ট প্যানক্রাস আসনে মনোনয়ন পান। ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে ১৭ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। রাজনীতিতে প্রবেশের ১০ বছরের মাথায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি।
নিজ পরিবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া প্রথম ব্যক্তি কিয়ার স্টারমার পড়াশোনা করেছেন রিগেট গ্র্যামার স্কুলে। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত তার পড়াশোনার খরচ বহন করেছে স্থানীয় সরকার। পরে লিডস ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৮৭ সালে তিনি ব্যারিস্টার হন।
এবারের নির্বাচনে বিজয়ের পেছনে তার প্রতিশ্রুত স্বাস্থ্যসেবা (প্রতি সপ্তাহে ৪০ হাজার অ্যাপয়েনমেন্ট), অভিবাসন (বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ড গঠন), আবাসন (১৫ লাখ নতুন বাড়ি তৈরি) ও শিক্ষা (৬ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ) নীতি প্রভাব বিস্তার করেছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়