সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে শাস্তি দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার পর একজনের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছিল। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা চেয়ে বুধবার কাউছার ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার। রিটে ওই শিক্ষার্থীদের দেয়া এ ধরনের শাস্তি কেন কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ঘটনার পর তিনি ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মঙ্গলবার রাতে রবির পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান পদ, সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ বা পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
ভুক্তভোগী ছাত্ররা জানান, রবিবার দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন আগে থেকে কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করেন। এতে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পরেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। অপরদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান তুহিন। ফলে তাকে ফারহানা ইয়াসমিন নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করেন ও তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের হুমকি দেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়