ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রূপান্তর’ নাটক নিয়ে উত্তপ্ত সামাজিক যোগাযাগমাধ্যম। নাটকটির মাধ্যমে দেশে ‘ট্রান্সজেন্ডার সংস্কৃতি’ প্রমোট করার অভিযোগ এনেছেন নেটিজেনরা। সেইসঙ্গে দিয়েছেন বয়কটের ডাক।
এ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। ফলে তার বিরুদ্ধে ছোরা হয়েছে বয়কটের তীর। এ অবস্থায় জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভবিষ্যতে এরকম কাজ আর করবেন না।
ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। নেটাগরিকরা একসময় দেন বয়কটের ডাক।
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় নাটকটি। তাতেও মিটছে না ক্ষোভ। রূপান্তর-এর কেন্দ্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। ফলে নাটকটি বয়কটের সঙ্গে তারা জোভানের বিরুদ্ধে দিচ্ছে বয়কটের ডাক। এমন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভবিষ্যতে এরকম কাজ আর করবেন না।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালচনা করা হচ্ছে। নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি। আমার মনে হয় না তারা দেখেই সমালোচনা করছে।’
নাটকটি নিয়ে দর্শকের এমন অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়ায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় জোভান। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে।’
এদিকে নাটকটিতে অভিনয়ের কারণে জোভানের বিরুদ্ধেও দেওয়া হয়েছে বয়কটের ডাক। ধুয়ে দেওয়া হচ্ছে তাকে। এরকম আচরণকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন অভিনেতা। তার ভাষায়, ‘এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কারণ সামগ্রিকভাবে কথা বলার চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণটা বেশি হচ্ছে।’
তবে নেটিজনেদের এমন সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।’
এ নিয়ে নেটিজেনদের কিংবা নিজের অনুসারীদের উদ্দেশে কোনো বার্তা আছে কি না জানতে চাইলে জোভান বলেন, ‘আমি ভেবেছি এটা নিয়ে একটি বিবৃতি দেব। ওই বিবৃতির মাধ্যমে আমার কথাগুলো জানাব।’
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে প্রকাশ করা হয় ‘রূপান্তর’। হরমোনজনিত কারণে একজন মানুষের একা হয়ে যাওয়ার গল্প তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। এটি নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। জোভান ছাড়াও অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি, সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক।
জানা গেছে, গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে ঘিরে। যিনি শৈশবে ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। এ কারণে তিনি জানতে পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন শিশু আশ্রমে।
চিত্রকর হিসেবে তিনি পেয়েছেন খ্যাতি। এর মধ্যে একজন ধনীর দুলালি তার আঁকায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় এই শিল্পীকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোনজনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন।তিনি দেখতে পুরুষের মতো হলেও মানসিকভাবে তিনি একজন নারী।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়