চিত্রনায়িকা পরীমণিকে গ্রেফতারের পর থেকে বিনোদন অঙ্গনের একাধিক মানুষের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। আবার কারও বিরুদ্ধে ছড়ানো হচ্ছে প্রমাণহীন গুজবও!
এমনই অভিযোগ করলেন জনপ্রিয় নায়ক সিয়াম আহমেদ। যা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন এ চিত্রনায়ক।
প্রসঙ্গত, সিয়াম পরীমণির সঙ্গে দুটি ছবিতে কাজ করেছেন। নায়ক জানান, সাম্প্রতিক কতিপয় ব্যক্তি এবং কিছু অনলাইন পোর্টাল তার নাম উল্লেখ করে কাল্পনিক গল্প তৈরি করে প্রচার করছে।
রবিবার (৮ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এ অভিযোগ করেন সিয়াম।
তিনি লিখেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি এবং কিছু তথাকথিত ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল আমার নাম উল্লেখ করে মূলত অনলাইন মাধ্যমে আমাকে নিয়ে কাল্পনিক গল্প থেকে শুরু করে নানাবিধ মিথ্যাচার ছড়িয়ে যাচ্ছেন। এটা বলা বাহুল্যমাত্র যে, সমস্ত গল্পগাঁথা, মিথ্যাচার ও নোংরামির মূলত কোনও ভিত্তিই নেই। একজন সামান্য মিডিয়াকর্মী হিসেবে আমি প্রতিটি সময় চেষ্টা করি আমার শুভানুধ্যায়ী থেকে শুরু করে সম্মানিত সকল দর্শককে সুস্থ বিনোদন দেওয়ার জন্য এবং তাদের জন্য আমার চেষ্টার শেষ নেই। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার আমার এই বিরামহীন প্রচেষ্টা সবসময় চলমান। বর্তমানে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে একটা অস্থিতিশীল কিংবা অস্থির যা-ই বলি না কেন তেমন পরিবেশ বিরাজমান। সেগুলোর কারণ কিংবা বিধেয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। যেকোনও যৌক্তিক তর্ক-বিতর্ক নতুন ভাবনার বিকাশ ঘটায় এবং এগুলো সুস্থ সমাজের উপাদানও বটে। কিন্তু এইসব তর্ক-বিতর্ক আর মিথ্যাচার কিংবা কুৎসা রটাবার যে ‘ফাইন-লাইন’ রয়েছে সেটি ছাপিয়ে যখন আমাকে হীন উদ্দেশ্যে নানাবিধ মিথ্যাচারে বিদ্ধ করা হয় এবং একইসাথে আমার পারিবারিক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবার চেষ্টা করা হয় তখন কেবল একজন অভিনেতা/মিডিয়াকর্মী হিসেবেই নয়, বরং একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেও আমার দায় জন্মে আমাকে যারা ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন এবং যারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের প্রতি আমার এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার।’’
বিষয়টি গুরুতর আকার ধারণ করায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও উল্লেখ করেন। লেখেন, ‘এইসব বক্তব্য আর সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়া মানহানিকর এবং একই সাথে বাংলাদেশে বিদ্যমান সাইবার অপরাধের যে নানাবিধ ধারা-উপধারা রয়েছে তার অন্তর্ভুক্ত। আমি জানাতে চাই, যারা যারা এইসব মানহানিকর কর্মকাণ্ড তথা এই কুৎসা রটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত আমি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ দ্রষ্টব্য)। আমি মনে করি, একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে আদালতের ওপর বিচারের ভার ছেড়ে দেয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়