ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর রেকর্ডসংখ্যক ভোটে জয়লাভের ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, তামিলনাড়ুর তুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামেও বিজয় মিছিল বের হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই সন্ধ্যাটি ছিল গ্রামটির বাসিন্দাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দমুখর সন্ধ্যাগুলোর অন্যতম। বিজয় মিছিলের পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণ ও গ্রামবাসীর উল্লাসের আতিশয্যে যে কারোরই মনে হওয়ার কথা, সেখানে ঈদ, দশেরা আর বড়দিন একযোগে উদযাপন করা হচ্ছে। যদিও গ্রামবাসীর কাছে দিনটি ছিল তার চেয়েও বড় কিছু। কারণ নবনির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের শেকড় এ গ্রামেই।
তুলাসেন্দ্রাপুরমে যখন বিজয় মিছিল হচ্ছে, ভারতেই নয়াদিল্লিতে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতাদের মধ্যে তখন জেঁকে বসেছিল হতাশা। কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি সরকারের দহরম-মহরম এখন তুঙ্গে। গত বছরও যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ে হিউস্টনে এক অনুষ্ঠানে মোদি কূটনৈতিক প্রটোকলের তোয়াক্কা না করেই বলে উঠেছিলেন, ‘আব কি বার, ট্রাম্প সরকার’ (পরের বার, ট্রাম্প সরকার)। উদ্বেলিত ট্রাম্পও সে সময় স্লোগান দিয়ে উঠেছিলেন ‘হাউডি মোদি’ বলে। সেই ট্রাম্পের বিদায়ের পালা ঘনিয়ে এলে নয়াদিল্লির কর্তাব্যক্তিদের নাখোশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতপক্ষে ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কটিকে নতুন করে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় এনে ফেলে দিয়েছে ওয়াশিংটনে ক্ষমতার পালাবদল।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মোদি সরকারের সম্পর্ক যতটা ঘনিষ্ঠ, ‘ঘরের মেয়ে’ কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ঠিক ততটাই তিক্ত। কাশ্মীর ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই বাইডেন শিবিরের প্রভাবশালীদের—বিশেষ করে কমলা হ্যারিসের—সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছে মোদি সরকার।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়