পাকিস্তানের সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘বড় ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহের বিচারকাজ শুরু’ এবং তাঁকে দেশত্যাগের নিষিদ্ধ তালিকায় (ইসিএল) রাখার জন্য করা এক পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই পিটিশনকে ‘ফালতু’ আখ্যা দিয়ে আবেদনকারীকে এক লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর ডনের।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯৯–এর অধীন পিটিশনটি করেন আইনজীবী ইকবাল হায়দার। হাই ট্রিজন (পানিশমেন্ট) অ্যাক্ট-১৯৭৩–এর অধীন ইমরান খান, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশি, পিটিআই মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী, পিটিআই নেতা কাসিম খান সুরির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরুর আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি তাঁদের নাম ইসিএলের তালিকায় রাখারও আবেদন জানান এই আইনজীবী।
এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের পাঠানো কূটনৈতিক তারবার্তার বিষয়বস্তু তদন্তের আবেদন জানানো হয়। ইমরান খানের দাবি, ওই তারবার্তায় পাকিস্তানকে ‘হুমকি দিয়েছে’ যুক্তরাষ্ট্র। তাঁকে উৎখাতে জাতীয় পরিষদে বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন ইমরান ও তাঁর দলের নেতারা।
ওই তারবার্তায় নাকি বলা হয়েছে, আসাদ মজিদের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু সতর্ক করে বলেছিলেন, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
‘স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি’ অনুসরণ এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর দিন মস্কো সফর করায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁর ওপর নাখোশ হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন ইমরান খান। তবে বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসলামাবাদ হাইকোর্ট পিটিশনটি ‘ফালতু’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত বলেন, কূটনীতিক তারবার্তাকে ‘বিতর্কিত’ করার চেষ্টা করেছেন আবেদনকারী। এ জন্য তাঁকে এক লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
আদালতের আদেশের একটি কপি পেয়েছে ডন। এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহের মতো একটি কথাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। কোনো নাগরিক নিজেকে আরেকজনের চেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক দাবি করতে পারেন না। একইভাবে অন্য কেউ রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন কোনো নাগরিকের তা বলার অধিকার নেই।
আদেশে বলা হয়, পিটিশনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়ার মতো নয়। একজন পাকিস্তান কূটনীতিকের পাঠানো তারবার্তাকে বিতর্কিত করা এবং বিচারের বিষয়ে পরিণত করা জনগণ এবং রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী।
আদালত বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের গুরুদায়িত্ব এটা নিশ্চিত করা যে স্পর্শকাতর জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলো চাঞ্চল্য সৃষ্টিতে ব্যবহার করা যায় না, এগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থেও ব্যবহার করা যায় না। কূটনীতিক ও তাঁদের গোপনীয় প্রতিবেদন টেনে আনা এবং রাজনৈতিক বিতর্কে ব্যবহার কূটনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্কের মতো পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়