ইরানের তেল রপ্তানি ও ব্যাংকিং খাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে নীতিগত সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি।
ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক আলোচনায় ইরানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
ভিয়েনা খেকে আরাকচি শনিবার জানিয়েছেন, ইরানের বেশিরভাগ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে নীতিগত ঐক্যমত্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ভিয়েনা বৈঠকে এখন পর্যন্ত যেসব নীতিগত সমঝোতা হয়েছে তার ফলে ইরানের জ্বালানী খাত অর্থাৎ তেল ও গ্যাস, গাড়ি নির্মাণ শিল্প ও ব্যাংকিং খাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
আরাকচি জানান, পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে যা নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন।
ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে পাশ্চাত্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঐক্যমত্যের বিষয়গুলো লেখার কাজও শুরু হয়েছে, তবে তা ধীরগতিতে চলছে কারণ, প্রতিটি শব্দ ও বাক্য অনেক চিন্তাভাবনা করে লেখা হচ্ছে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে আবার আগের অবস্থায় সক্রিয় করার জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বর্তমানে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সংলাপ চলছে। সংলাপে আমেরিকা ছাড়া এ সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি পাঁচ দেশ অংশগ্রহণ করছে।
‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন।
এরপর এক বছর পর্যন্ত ইরান এই সমঝোতা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল কিন্তু অন্য পক্ষগুলো সমঝোতা বাস্তবায়ন না করায় ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইরান সমঝোতার বেশকিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেয়।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়