উন্নত প্রযুক্তির নিরাপত্তা পণ্য ভালো শর্তে ক্রয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করছে বাংলাদেশ। আগের স্বল্পমূল্যে নিরাপত্তা পণ্য ক্রয়ের নীতি থেকে বের হয়ে এখন ইউরোপ বা আমেরিকার দেশগুলি থেকে উন্নত প্রযুক্তির পণ্য ভালো শর্তে ক্রয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ ছাড়াও সরকার এখন জোর দিচ্ছে প্রযুক্তি হস্তান্তরের উপর অর্থাৎ শুধু নিরাপত্তা পণ্য ক্রয় নয়, এরসঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তরকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং তা শর্তের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের একটি মৌলিক নীতি হচ্ছে সব ডিম এক ঝুড়িতে না রাখা। সুতরাং যেখানে ভালো জিনিস সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে এবং ভালো শর্তে পাওয়া যাবে সেখানেই আমাদের আগ্রহ রয়েছে। সবার জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে এবং যেখান থেকে ভালো শর্তে আমরা কিনতে পারব সেখান থেকেই আমরা কিনবো।

এক সময় প্রযুক্তিপণ্য শুধু চীন থেকে কেনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সক্ষমতা রকম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখন আমরা বিভিন্ন পণ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে কেনার ক্ষমতা রাখি, যেটি আগে আমাদের ছিল না। আমার জানামতে শুধুমাত্র দাম কম এ ধরনের পণ্য না খুঁজে টেকসই কিছু প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুযোগ রয়েছে এবং উচ্চ প্রযুক্তির পণ্যের প্রতিও আমাদের আগ্রহ বেড়ে গেছে।

প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য 
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যদি প্রযুক্তিনির্ভর কোনও পণ্য হয়, যেমন ই-পাসপোর্ট জার্মানিরা করছে বা ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল এ যে সমস্ত প্রযুক্তি ব্যবহার হবে, সেগুলোর কিছু হয়তো জাপান দেবে এবং বাকিটা অন্যরা দেবে এবং এ বিষয়গুলি ঠিক আছে। কিন্তু শুধুমাত্র মিলিটারি হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থটা ভালো করে ভেবে দেখতে হবে। এখানে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয় যদি কোনও বিষয় থাকে অর্থাৎ পণ্যটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হতে তাহলে এটি সবার জন্যই লাভজনক হবে।

‘এক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যে পুরোটাই আমরা তাদের দিয়ে দিচ্ছি না এবং এর বিনিময়ে আমরা আরও কিছু পাচ্ছি’, যুক্ত করেন তিনি।

বিভিন্ন দেশের আগ্রহ
বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা পণ্য সহযোগিতার বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলো আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এরসঙ্গে আমেরিকার আগ্রহ রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে নিরাপত্তা পণ্য কিনছি, যেমন ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক, যাদের পণ্যের মান ভালো এবং তাদের শর্তাবলি অনেক ভালো। সুতরাং তুরস্ককে একটি বিকল্প উৎস হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’

রাশিয়ানরা অনেক উন্নত মানের পণ্য তৈরি করে থাকে এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের তাদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে করে থাকে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, জাপানের অনেক উচ্চপ্রযুক্তির পণ্য রয়েছে। কিন্তু তাদের একটি সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা ছিল এ ধরনের পণ্য রফতানির উপর কিন্তু শিনজো আবে সরকারের সময় একটি তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা এখন সেখানেও দেখতে পারি, তবে সেখানে দাম অনেক বেশি। সুতরাং দামে পোষালে জাপানকেও একটি বিকল্প হিসেবে দেখা যায় বলে তিনি জানান। 
এই বিভাগের আরও খবর
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট কোন কোন যন্ত্রে লগইন করা আছে বুঝবেন যেভাবে

ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট কোন কোন যন্ত্রে লগইন করা আছে বুঝবেন যেভাবে

প্রথমআলো
সাধ এবং সাধ্যের অপূর্ব সমন্বয় ‘সিম্ফনি জেড৭০’

সাধ এবং সাধ্যের অপূর্ব সমন্বয় ‘সিম্ফনি জেড৭০’

ভোরের কাগজ
ইলন মাস্ক বাদ, কে হলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী?

ইলন মাস্ক বাদ, কে হলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী?

জনকণ্ঠ
এই চশমায় আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

এই চশমায় আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

প্রথমআলো
আজ সারাদেশে বিঘ্নিত হবে ইন্টারনেট সেবা

আজ সারাদেশে বিঘ্নিত হবে ইন্টারনেট সেবা

ভোরের কাগজ
তিন দেশের মানুষ দিনকে রাত দেখবে ৮ এপ্রিল

তিন দেশের মানুষ দিনকে রাত দেখবে ৮ এপ্রিল

সমকাল
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়