কানাডার ৪৪তম জাতীয় নির্বাচনে আবারো জয় পেয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি দলটি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ কোনো আইন পাস করতে হলে বিরোধী দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন ট্রুডো, তবে তার সমালোচকরা বলছেন আগাম এ নির্বাচনে কেবল সময়ই নষ্ট হয়েছে।
কানাডার সংসদে মোট আসন সংখ্যা ৩৩৮। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হাউজ অব কমন্সের ১৭০ আসনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ট্রুডোর দল ১৫৮টি আসন নিশ্চিত করতে পেরেছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভরা পেয়েছে ১২২টি। তবে ই-মেইলের মাধ্যমে দেয়া আট লাখ ভোটের হিসাব সম্পন্ন হলে চূড়ান্ত ফলাফলে সামান্য এদিক-ওদিক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জাস্টিন ট্রুডো বলছেন, আবার ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নে সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করবেন তিনি।
কানাডায় যখন মহামারীর চতুর্থ ঢেউ চলছে, ঠিক সেই সময় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। বলা হচ্ছে, দেশের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন। যেটি অনুষ্ঠানে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৭ কোটি মার্কিন ডলার। নির্বাচনের সময়ই যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, সেখানেও দেখানো হয় যে এবারের ফলাফলও ২০১৯-এর মতোই হবে। সেবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় পাননি জাস্টিন ট্রুডো।
দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো কানাডিয়ানদের ভোটকেন্দ্রে নিয়েছেন ট্রুডো। তার এ আগাম নির্বাচন ঘোষণা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। কনজারভেটিভদের নেতা এরিন ও’টুলে বলেন, নির্বাচনটিতে কেবল অর্থই ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, আরো একটি সংখ্যালঘু সরকার নিয়ে ক্ষমতায় গেলেন ট্রুডো, আর এজন্য ব্যয় হয়ে গেল ৬০ কোটি কানাডিয়ান ডলার। তবে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে ট্রুডোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জয় প্রসঙ্গে জাস্টিন ট্রুডো বলছেন, এ নির্বাচন তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্পষ্ট নির্দেশ দিল। যদিও নির্বাচনী প্রচারকালের পুরোটা সময়ই তিনি আরেকটি নির্বাচন কেন প্রয়োজন সে বিষয়টি ভোটারদের বোঝাতে চেষ্টা করেছেন। সেই সময় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছিল। ফলে সেই দুশ্চিন্তার বোঝাও ছিল তার মাথায়। আবার প্রচারণা চলাকালে তাকে সামাল দিতে হয়েছে টিকাবিরোধীদেরও। অনেক সময় প্রচার অনুষ্ঠানেই টিকা প্রত্যাখ্যান করে স্লোগান দিয়েছেন অনেকে।
২০১৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। এরপর ২০১৯-এর নির্বাচনেও তিনি জয়ী হন। সবশেষ গত ১৫ আগস্ট আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কানাডার নাগরিকরা দেখতে চায় যে কভিড মহামারীর বিরুদ্ধে এ লড়াইটা কে শেষ করবে। এবং মহামারী-পরবর্তী পুনরুদ্ধারে কে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। নতুন নির্বাচনে শিশু যত্ন কেন্দ্রের বিষয়ে নতুন পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আরো শক্ত হাতে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা ও কানাডার আবাসন সমস্যা দূর করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়