সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে টানা তৃতীয় দিনের মতো উত্তাল রয়েছে মিয়ানমারের রাজপথ। গতকাল ইয়াঙ্গুন ও রাজধানী নেপিদোসহ কয়েকটি বড় শহরে ১০ হাজারের বেশি মানুষ রাজপথে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। নেপিদোতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ জলকামান প্রয়োগ করলেও বড় কোনো সহিংসতার খবর মেলেনি। তবে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বড় ধরনের বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। খবর বিবিসি ও রয়টার্স।
গতকাল নেপিদোর রাজপথে বিক্ষোভে শামিল হন মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংকার, আইনজীবী, চিকিৎসক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। আগে থেকে বিক্ষোভ করছিলেন দেশটির শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি দল।
গতকালের বিক্ষোভ মিছিলে ১০ হাজারের বেশি মানুষ সমবেত হন। তারা সেনা শাসনবিরোধী স্লোগান দেন ও অং সান সু চিসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন। অনেকেই সু চির রাজনৈতিক দল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এলএনডি) লাল রঙের পতাকা ও ব্যানার বহন করেন।
নেপিদোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর পরও সহিংসতার কোনো খবর মেলেনি। বিক্ষোভ হয়েছে ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয় শহরেও।
সু চির ছবি হাতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাইন হায়মান সোয়ে। তিনি বলেন, মিছিলে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশাপাশি তরুণদের অংশগ্রহণ নজর কেড়েছে। তারা কোনোভাবেই সেনা শাসন মেনে নিতে পারছেন না। দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ থাকলেও রাজপথের বিক্ষোভে জনসমাগম দিন দিন বাড়ছে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়