দেশে মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড নকিয়ার উৎপাদন শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক প্রথম লটের উৎপাদন শেষে এখন দ্বিতীয় লটের উৎপাদন শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অপরদিকে শাওমি ব্র্যান্ডও দেশে মোবাইল ফোনের কারখানা চালু করতে যাচ্ছে। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা গেছে।
নকিয়া সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি নিজস্ব কারখানায় মোবাইল ফোন তৈরি (সংযোজন) করা শুরু করে। প্রথমবার নকিয়ার ৩.৪ মডেলের স্মার্টফোন তৈরি করা হয়। এই মডেলের ১০ থেকে ১২ হাজার ইউনিট মোবাইল প্রতিষ্ঠানটির বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ৩০০-৫০০ ইউনিট মোবাইল কারখানায় তৈরি হয়। বাজারে ছাড়ার পরে ভালো সাড়া পড়েছে বলে জানিয়েছে নকিয়া কর্তৃপক্ষ। নভেম্বর মাসে এই ব্র্যান্ডটি জি-১০ মডেলের স্মার্টফোন তৈরির মাধ্যমে দ্বিতীয় লটের উৎপাদন শুরু করতে পারে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার ও বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপের জয়েন্ট ভেঞ্চার ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার (বিডি) লিমিটেড নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকে চলতি বছরের মার্চ মাসে নকিয়া ফোন উৎপাদনের জন্য ৩ বছরের জন্য লাইসেন্স নেয়। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ৫ নম্বর ব্লকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ নিয়ে কারখানা গড়ে তুলেছে ভাইব্র্যান্ট।
শিগগিরই মোবাইল উৎপাদনে যাচ্ছে শাওমি
আরেক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড শাওমি বাংলাদেশে কারখানা চালু করতে যাচ্ছে। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারে। কবে নাগাদ শাওমির কারখানা চালু হতে পারে জানতে চাইলে এ দেশে শাওমির কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়া উদ্দিন চৌধুরী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
জানা গেছে, আগামী ২১ অক্টোবর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে একটি জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে শাওমি। ওই অনুষ্ঠানে কয়েকটি ঘোষণা আসতে পারে। তার মধ্যে একটি হতে পারে দেশের স্থানীয় কারখানায় শাওমি মোবাইল তৈরির ঘোষণা। যদিও এ বিষয়ে শাওমির বাংলাদেশ অফিস কোনও মন্তব্য করেনি। তবে আয়োজনের ঘনঘটা দেখে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেছেন এমনটা। ব্র্যান্ডটির নতুন পরিকল্পনা, অফার ও ঘোষণার অপেক্ষায় প্রযুক্তি বাজার।
দেশে শাওমির মোবাইল ফোনের কারখানা চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শাওমি মোবাইল উৎপাদনের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান। শাওমি শিগগিরই উৎপাদনে যাবে বলে আমরা জানি। মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখানে উৎপাদন মানে তো অ্যাসেমব্লিং (সংযোজন)। আমরা আপাতত এতেই খুশি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়