গাজায় ইসরাইলের নৃশংসতায় নিজ দলের আইন প্রণেতাদের ক্ষোভের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যে মাত্রায় অসম শক্তি প্রয়োগ করে গাজায় নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরাইল, তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্য। খোদ ডেমোক্রেটদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে ওয়াশিংটন পোস্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের কাছে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে মার্কিন প্রশাসন। এ খবরে সেই ক্ষোভকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের সমর্থনে যখন মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তখন যুক্তরাষ্ট্র অলস হয়ে বসে থাকতে পারে না।
সোমবার কয়েক ডজন ডেমোক্রেট ও একজন রিপাবলিকানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ও নিরপেক্ষ সিনেটর বার্নি স্যান্ডার। তারা উভয় পক্ষের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে ডেমোক্রেট দলের সুপরিচিত আরেক নেতা এডাম শিফ যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ সৃষ্টি করেছেন যুদ্ধবিরতিতে অধিক পরিমাণে যুক্ত হওয়ার জন্য। এডাম শিফ হলেন হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান। সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি সতর্ক করেছেন এই বলে যে, এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরেই যখন প্রতিক্রিয়া এমন তখন প্রথমবারের মতো ইসরাইল ও গাজায় যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসকে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলে নেন। বাইডেন যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন দিলেও জোরালো কোন অবস্থান নেননি। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বৈষম্যমূলকভাবে রকেট হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে বলে পুনর্বার সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব রকম প্রচেষ্টা নিতে ইসরাইলকে উৎসাহিত করেছেন। ফোনালাপে দুই নেতা হামাস ও গাজায় অন্য ‘সন্ত্রাসী’ গ্রুপের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুদ্ধবিরতিতে তার সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করা মিশর ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ত থাকার বিষয়ে আলোচনা করেন।
সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ইসরাইলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, হামলা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে আরো এক বা দু’দিন সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন সামরিক কর্মকর্তারা। সোমবার দিনশেষে ইসরাইলের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় ‘সন্ত্রাসীদের টার্গেট’ অব্যাহত রাখবে ইসরাইল। ইসরাইলি নাগরিকদের নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি শান্ত করতে যতদিন সময় দরকার হবে ততদিন এই হামলা চলবে।
এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান সম্বলিত একটি যৌথ বিবৃতি তৃতীয় বারের মতো আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরিবর্তে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক উপায়ের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে। সোমবার ডেনমার্কে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি বলেছেন, যদি ইসরাইল এবং হামাস যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহ দেখায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে সাহায্য করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এটা দাবি করছে না। তিনি আরো বলেন, এই সহিংসতায় জড়িত পক্ষগুলোকে পরিষ্কার করতে হবে, তারা যুদ্ধবিরতি চায় কিনা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়