লকডাউনের মধ্যে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি আয়োজন করা নিয়ে বেশ অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য সমালোচনার ঝড় ওঠে সবদিক থেকে। সমালোচনার ঝড় ওঠে নিজ দলের ভেতরেও। কিন্তু এবার হুমকির মুখে পড়েছে তার প্রধানমন্ত্রীর পদ। তার নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে এমপিদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে হাউজ অব কমন্সে আয়োজিত প্রাইম মিনিস্টার’স কোয়েশ্চেনে। খবর বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, নতুন এমপিদের ২০ জনের একটি দল গতকাল স্থানীয় সময় সকালে বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা চিঠি পাঠিয়েছে। যদি ৩৬০ টোরি এমপির মধ্যে ৫৪ জন এমন অনাস্থা চিঠি পাঠান তবে নতুন নেতৃত্বের জন্য প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। এখন পর্যন্ত সাতজন টোরি এমপি এমন চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে সঠিক সংখ্যাটি বলতে পারবেন কনজারভেটিভ ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটির প্রধান এমপি স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডি। তিনিই অনাস্থা চিঠিগুলো গ্রহণ করছেন এবং গণনার দায়িত্বে আছেন।
তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস হেপ্পি তার টোরি সহকর্মীদের ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ জানান। তার মতে, দেশের এমন পরিস্থিতিতে এখন নেতা পরিবর্তন করার সঠিক সময় নয়।
অন্যদিকে, সিভিল সার্ভেট স্যু গ্রের ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টি-সংক্রান্ত বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেক কনজারভেটিভ। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী এবং অনাস্থা চিঠির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
সম্প্রতি ২০১৯ সালে নির্বাচনের নির্বাচিত এমপিদের ২০ জন ‘পর্ক পাই প্লট’ নাম দিয়ে একটি সভার আয়োজন করেন। সেখানেই তারা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে আলোচনা করে অনাস্থা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই ২০ জনের অর্ধেকেরই চিঠি পাঠানো হয়ে গেছে বলে দাবি করেন এক এমপি।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রধানমন্ত্রী বরিস এবং সরকারের মন্ত্রীরা সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন তারা যেন স্যু গ্রের আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু সেই অপেক্ষা করার মতো ধৈর্য সংসদের নতুন সদস্যদের ছিল না বলেই মনে হয়। সেই সঙ্গে যে হারে নিজ দলের মধ্যেই অস্থিরতা বাড়ছে তাতে বরিসের পক্ষে দলের নেতৃত্ব দেয়া কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এর আগে ২০২০ সালের ২০ মে লকডাউনের কড়াকড়ির মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করেন বরিস জনসন। গত মঙ্গলবার তিনি জানান, এ পার্টিতে যে কভিড নীতি লঙ্ঘন হতে পারে, এ ব্যাপারে কেউ তাকে সতর্ক করেননি। এজন্য তিনি বারবার ক্ষমা চেয়েছেন।
যদিও তার প্রাক্তন উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস বলছেন ভিন্ন কথা। এ ইভেন্টের বিষয়ে একটি মেইল পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করেছিলেন বলে জানান তিনি। তার অভিযোগ, ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে তার সম্পৃক্ত থাকার ব্যাপারে বরিস জনসন সংসদে মিথ্যাচার করেছেন। স্যু গ্রের প্রতিবেদনে পার্টিতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তিনি পদত্যাগ করবেন বলেও জানান।
এমন একটি ইভেন্ট আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীদের দোষারোপ করেন তিনি। কারণ তার মতে, এসব আয়োজন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীরাই করে থাকেন, তিনি নিজে কিছু করেন না। তিনি বলেন, তার টিমের উচিত ছিল তার পাশে থাকা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়