একটি ক্যামেরায় সর্বোচ্চ কত মেগাপিক্সেল থাকতে পারে—৬৪ বা ১২৮ কিংবা ১৫৬? এটুকুতেই অনেক দূর-দূরান্তের ছবি বেশ পরিষ্কারভাবে পেয়ে যাই আমরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাক্সেলেটর ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের চাহিদা ছিল আরো বেশি। সেই চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে সাত বছর ধরে গবেষণা করে তাঁরা তৈরি করেছেন ৩২০০ মেগাপিক্সেলের এক ক্যামেরা।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণাগারে তৈরি সেই ক্যামেরার ছবি ও তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা, যার নাম রাখা হয়েছে ‘এলএসএসটি’।
ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণাগারে তৈরি এলএসএসটি ১৫ মাইল দূর থেকে একটি গলফ বলের ছবিও নিখুঁতভাবে তুলে নিতে পারে। শক্তিশালী এই ক্যামেরা বসবে চিলির কেরো পাচো পাহাড়ে। এই পাহাড় থেকে এলএসএসটি পৃথিবীর দক্ষিণ আকাশকে পুরোপুরি ম্যাপিং করতে পারবে। পুরো দক্ষিণ আকাশের পরিষ্কার ছবি পেতে বিজ্ঞানীদের সময় লাগবে প্রায় এক দশক। তবে সাধারণ কোনো ছবি তুলতে ক্যামেরাটি ব্যবহৃত হবে না, রাতের আকাশের ত্রিমাত্রিক ছবি তুলতেই শুধু এটির ব্যবহার।
চলতি বছরের শেষে পরীক্ষামূলকভাবে ছবি তোলা হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজিটাল এই ক্যামেরায়। সব ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের মে মাসে পুরোপুরি চালু হতে যাচ্ছে এটি। ক্যামেরাটি ব্যবহার করে মহাকাশের ওপর একটি তথ্যচিত্র বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে এলএসএসটি ক্যামেরা ১৭ বিলিয়ন নতুন তারা আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে, সেই সঙ্গে আমাদের নিজস্ব সৌরজগতে ছয় মিলিয়ন নতুন বস্তু আবিষ্কারেও সরাসরি ভূমিকা রাখবে। ২৮০০ কিলোগ্রাম ওজনের ক্যামেরাটিতে থাকবে ১৮৯ সেন্সর।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়