স্বাস্থ্য সচেতনতায় মানুষের আগ্রহ বেড়েছে ফিটনেস পণ্যে। তাই দ্রুত বড় হচ্ছে পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের বাজার। আর এ বাজার ধরতে এখন প্রযুক্তি কম্পানিগুলোর পাশাপাশি উঠেপড়ে লেগেছে পোশাক কম্পানিগুলোও। স্মার্ট পোশাক নিয়ে বাড়ছে গবেষণা ও উদ্ভাবন। সম্প্রতি একদল গবেষক নতুন টি-শার্ট তৈরি করেছেন, যা প্রতি মুহূর্তে ব্যক্তির হৃৎকম্পন মনিটর করবে এবং জানিয়ে দেবে হৃদের অবস্থা। এ খাতে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা দেখছেন তাঁরা।
সিএনএন বিজনেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাইস ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক নতুন একটি উপাদান তৈরি করেছেন, যা সুতার মতো নরম আবার কেভলারের মতো শক্তিশালী। আবার মেটাল বা ধাতুর মতো পরিবাহী। এটি সাধারণ কাপড়ের মতো পরা যাবে, আবার ধোয়াও যাবে। তাঁরা বলছেন, ক্রীড়াবিদদের জন্য তৈরি পোশাকে এ উপাদান যুক্ত হলে এটি হবে স্মার্ট পরিধেয়, যা ক্রমান্বয়ে পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে।
‘কার্বন ন্যানোটিউব থ্রেড’ নামক এই ফাইবার একটি ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইকেজি) মনিটরিং ডিভাইসে তারের মতো কাজ করবে, যা হার্টের অবস্থা শনাক্ত করতে হার্টের ছন্দ পরিমাপ করে। ফলে বিশেষ এ উপাদান স্কিনের ওপরে আলাদাভাবে লাগানোর প্রয়োজন হবে না বরং এটি একটি টি-শার্টে সেলাই করে দেওয়া যাবে। পরা যাবে সাধারণ অ্যাথলেটিক পোশাকের মতো।
রাইস ইউনিভার্সিটি ব্রাউন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবের এই গবেষকরা বলছেন, এটি তারের মতো পরিবাহী হিসেবে কাজ করলেও তার নয়। বরং সুতার মতো এ উপাদান জামার মধ্যে আরামদায়কভাবেই থাকবে। স্বাভাবিকভাবে ধোয়া যাবে, টানলে বড় হবে, কিন্তু ছিঁড়ে যাবে না। ফলে বারবারই পরা যাবে। যদিও ভোক্তাদের জন্য ব্যাপকভাবে উৎপাদনের বিষয়টি এখনো অনেক দূরে, কিন্তু গবেষকরা বলছেন, এ উপাদান জামায় ব্যবহারের ফলে অনেক প্রযুক্তি পণ্য আর ব্যবহার করতে হবে না। যেমন মেডিক্যাল ইকেজি হলটার মনিটর, হৃৎকম্পন মনিটরিং ঘড়ি এবং অ্যাথলেটদের জন্য চেস্ট স্ট্র্যাপ ব্যবহার করতে হবে না। বিশেষ করে পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের বিকল্প হিসেবে এর আরো অনেক সম্ভাবনাময় উপযোগিতা রয়েছে। গবেষণার প্রধান রচয়িতা লরেন টেইলর বলেন, ‘এই প্রযুক্তিকে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের মিলিটারি ইউনিফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারি। কারণ আমরা শুধু ইকেজি ইলেকট্রডের জন্য এই উপাদান ব্যবহার করতে পারছি তা নয়, এটিকে অ্যান্টেনা হিসেবেও ব্যবহার করতে পারছি। যাতে আমরা সামরিক কর্মীদের অবস্থান ট্র্যাক করতে পারি।’
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গার্নারের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে পরিধেয় প্রযুক্তিতে ব্যয় এ বছর ১৮ শতাংশ বেড়ে হবে ৮১.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে এ বাজার বাড়বে আরো ১৫ শতাংশ। এরই মধ্যে অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই পরিধেয় ডিভাইস খাতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে। অ্যাপল ২০১৮ সালে তাদের স্মার্টওয়াচে হৃৎকম্পন মনিটরিং যোগ করে। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক আরো অনেক ফিচার যুক্ত করে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়