লিবিয়ার অন্তর্র্বতী প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবাইবাহর গাড়িতে গুলি করেছে অস্ত্রধারীরা। আজ বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তার গাড়িতে গুলি করে হামলাকারীরা। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি। সেখানে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে লিবিয়া। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, একটি বুলেট প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করে। এতে তিনি বা তার চালক কেউই আহত হননি।
ওই গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে বুলেটের গর্তের এক্সক্লুসিভ ফুটেজ প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। সূত্র জানিয়েছে, একটি হালকা মানের অস্ত্র থেকে বুলেট ছোড়া হয়েছিল। হতে পারে তা একটি কালাশনিকভ রাইফেল। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন লিবিয়ার চিফ প্রসিকিউটর।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এই হামলাকে হত্যাচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন। লিবিয়ায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন অংশের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে গত বছর অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবদুল হামিদকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য বিরোধী পক্ষ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে।
২০১১ সালে প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে ন্যাটো সমর্থিত জোট হামলা চালানোর পর থেকে লিবিয়ায় শান্তি বা স্থিতিশীলতা আছে এমনটা বলা যায় না। ২০১৪ সালে দেশটি পূর্ব ও পশ্চিমে বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
আবদুল হামিদ মিসরাটা শহরের একজন শক্তিধর ব্যবসায়ী। গত বছর মার্চে তাকে জাতিসংঘ সমর্থিত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটির (জেএনইউ) পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। তার দায়িত্ব ছিল ২৪ শে ডিসেম্বর দেশটিতে নির্বাচন করা। তাকে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব দেয়া হয় এই শর্তে যে, তিনি নিজে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কিন্তু নভেম্বরে তিনি নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন, যা অনেকেই অন্যায় বলে অভিহিত করেন। নির্বাচনী আইন এবং পার্লামেন্টের বিবদমান অংশগুলোর বিরোধের কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। দেশটির পূর্বাঞ্চলে লড়াইরত খলিফা হাফতারের বাহিনী জেএনইউ’কে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয়।
দু’জন শক্তিধর প্রার্থীর মধ্যে একজনকে নতুন অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার বেছে নেয়ার কথা ছিল পার্লামেন্ট সদস্যদের। ওই দুই প্রার্থী হলেন ৫৯ বছর বয়সী সাবেক শক্তিধর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতহি বাশাঘা এবং বহিরাগত ৫১ বছর বয়সী খালেদ আল বিবাস। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক একজন কর্মকর্তা। এই ভোট ২০১৪ সালের বিভেদের পুনরাবৃত্তি দেখাতে পারে, যা থেকে দুটি সমান্তরাল সরকারের প্রচলন হয়েছিল।
এ সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ বলেছেন, পার্লামেন্টের যেকোনো উদ্যোগের বিরোধিতা করবেন তিনি। এই পার্লামেন্ট মূলত পূর্বাঞ্চলীয় তাবরুক শহর কেন্দ্রীক। পার্লামেন্ট থেকে তার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারকে উৎখাতের যেকোনো রকম প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেন তিনি। বলেন, নতুন কোনো অবস্থা বা সমান্তরাল কর্তৃত্ব আমি মেনে নেবো না। আমার সরকার শুধু একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়