মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাস্তায় চলা অন্যতম পরিচিত ফোর হুইল ড্রাইভ এসইউভি। ২০০১ সালে জাপানে প্রথম বাজারে আসা এ গাড়ি বাংলাদেশের সব ধরনের রাস্তায় ২১ বছর ধরে চলছে। বহু পথ পাড়ি দিয়ে, নানা রকম পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের ধাপ পেরিয়ে গাড়িপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রথমে আউটল্যান্ডারের দিকে তাকালে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য এর আকর্ষণীয় ও অ্যারোডায়নামিক ডিজাইনের কারণে। গাড়িটির ফ্রন্ট ও ব্যাকে চাকার রিমসহ সাইড ভিউয়ের সৌন্দর্যে মিশে আছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। ডায়নামিক শিল্ড ডিজাইনের নিরাপত্তাব্যূহ তো আছেই, এর ওপরের অংশের ইলেকট্রিক সান রুফটিও যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার পাওয়া যাচ্ছে ওরিয়েন্ট রেড মেটালিক, ব্ল্যাক পার্ল, কজমিক ব্লু মেটালিক, কোয়ার্টজ ব্রাউন মেটালিক, টাইটানিয়াম গ্রে মেটালিক, হোয়াইট পার্ল, হোয়াইট সলিড, সিলভার মেটালিক—এই আট রঙে।
আউটল্যান্ডারের ইঞ্জিনের শক্তিমত্তা, টর্ক, পারফরম্যান্স একেবারেই লা-জওয়াব। ২০০০ সিসি মিভেক ইঞ্জিন একেবারে ক্লিন, কার্যকর, অত্যন্ত দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে সক্ষম যেকোনো পরিস্থিতিতে। আবার মিতসুবিশির মিভেক ইঞ্জিন হওয়ার কারণে ফুয়েল এফিশিয়েন্সিও খুব ভালো এ গাড়ির।
এই হাই ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন অত্যন্ত কার্যকরভাবে ভারী লোড নিয়ে বা পাহাড়ের চড়াই রাস্তায়ও খুব সাবলীলভাবে এক্সেলেরেশন দিতে পারে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৩ কিলোমিটার গতিবিশিষ্ট এ গাড়ির ইঞ্জিনের টর্ক ১৯৬ পর্যন্ত হতে পারে। এই গাড়ির হর্স পাওয়ার হচ্ছে ১৪৯ নিউটন মিটার। আর ১৮ ইঞ্চি এলয় হুইল থাকায় গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত।
মিতসুবিশি আউটল্যান্ডারে রয়েছে অত্যাধুনিক সব ফিচার। ফোর হুইল ড্রাইভ তো অনেক গাড়িতেই আছে। কিন্তু পুশ বাটনের মাধ্যমে মিতসুবিশি আউটল্যান্ডারের ফোর হুইল ড্রাইভের ফাংশনটি খুব চমৎকারভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ গাড়িতে ফোর হুইল ড্রাইভের জন্য রয়েছে ৩টি মোড। ‘ফোর হুইল ড্রাইভ ইকো’ হচ্ছে জ্বালানি–সাশ্রয়ী মোড। ‘ফোর হুইল ড্রাইভ অটো’ হচ্ছে একটি স্বয়ংক্রিয় মোড।
এ মোডে আউটল্যান্ডার গাড়িটি রাস্তার ওপর নির্ভর করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়ার জেনারেট করে এবং ‘ফোর হুইল ড্রাইভ লক’ মোডটি অফরোড ড্রাইভিং বা চড়াই–উতরাইয়ের সময়ে কাজে লাগে এবং গাড়ি সব সময় ফোর হুইল ড্রাইভ অপশনটি ব্যবহার করে। আর নিউ জেনারেশন সিভিটি বা ‘কন্টিনিউয়াসলি ভ্যারিয়েবল ট্রান্সমিশন’ সুবিধা থাকার জন্য পুরো ড্রাইভিং এক্সপেরিয়েন্স হয় অত্যন্ত মসৃণ ও আরামদায়ক। এ ছাড়া ক্রুজ কন্ট্রোল বাটনের সাহায্যে একটি সুবিধাজনক গতি নির্ধারণ করে দেওয়ার সুবিধা আছে এখানে, যখন লম্বা রাস্তা বা হাইওয়ে ধরে একইভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব।
আরামের কথা যখন চলেই এল, মিতসুবিশি আউটল্যান্ডারের নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তির কথা না বললেই নয়। এ দেশের রাস্তার প্রবল শব্দদূষণের কিছুই টের পাওয়া যায় না এ গাড়ির ভেতর থেকে। ফলে শহরের তীব্র জ্যাম ও শব্দদূষণের মধ্যেও অফিসের মেইল, মিটিং করা যাবে নির্বিঘ্নে। আর দীর্ঘ যাত্রার কথা মাথায় রেখে এর সিটগুলো জেনুইন লেদার ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি। সামনের সিটগুলোতে আছে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। স্বয়ংক্রিয় ডুয়েল ক্লাইমেট কন্ট্রোল এসির সাহায্যে পুরো গাড়িতে আলাদা তাপমান বজায় রাখা যায়।
সাত সিটের এই অত্যন্ত আরামদায়ক গাড়িটিতে বসার আয়োজন বেশ ফ্লেক্সিবল। সব সিটেরই নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা আছে সিট বেল্টের মাধ্যমে। মাঝের সারিতে রয়েছে কাপ হোল্ডারসহ হ্যান্ডরেস্ট, এসআরএস এয়ারব্যাগ, ইন্টেলিজেন্ট ইলেকট্রনিক ফাংশন আর অত্যন্ত শক্তপোক্তভাবে তৈরি শক্তিশালী রি-ইনফোর্সড ইমপ্যাক্ট সেইফটি অ্যাভোলিউশন বা ‘রাইজ’ প্রযুক্তির কাঠামোসহ মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার যথেষ্ট নিরাপদ।
মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার শহরের ভেতর ও বাইরে সর্বত্র সর্বোচ্চ আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করে। এতে আছে নানা সুবিধা। সহজেই নাগাল পাওয়া যায় এমনভাবেই সামনে ও পেছনে ইউএসবি পোর্ট ও কেব্ল চার্জিং পয়েন্ট আছে এতে। আর এর সাউন্ড সিস্টেমের কথা তো বলতেই হয়। রকফোর্ড ফসগেট প্রযুক্তির উন্নত মানের প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম আছে এ গাড়িতে। আটটি স্পিকার ও পেছনে একটি উফারের সাহায্যে গাড়ির সব জায়গা থেকে ক্লিয়ার হাই কোয়ালিটি সাউন্ড পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা অপশন করার সুযোগ আছে এ গাড়িতে, যার মাধ্যমে টাইট কর্নারগুলোতে গাড়ি পার্কিংয়ে পাওয়া যায় অতিরিক্ত সুবিধা।
মিতসুবিশি আউটল্যান্ডারের সামনে রয়েছে ডিআরএলসহ এলইডি প্রজেকশন লাইট ও ফগ লাইট। পেছনে রয়েছে সম্পূর্ণ এলইডি ব্যাকলাইট, যা প্রতিকূল পরিবেশেও অনেক দূর থেকে গাড়িটির ভিজিবিলিটি নিশ্চিত করে।
আরাম, নিরাপত্তা, ড্রাইভিং কমফোর্ট, ভেতরের প্রশস্ত জায়গা, শহরের ভেতরেও স্বাচ্ছন্দ্যে এবং শব্দদূষণ ছাড়া শান্তিতে গাড়ি চালানোর জন্য মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার অনন্য। এর যে ম্যানুভারিংয়ের ফ্লেক্সিবিলিটি, তা আসলেই অত্যন্ত সুবিধাজনক। শক্তিশালী ইঞ্জিন ও কাঠামোর সঙ্গে এর অভিজাত লুক রাস্তায় থাকা অন্য যেকোনো এসইউভি থেকে একেবারে অনন্য।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়