মেহজাবীন চৌধুরীর চোখের পাতায় উঠেছে অঞ্জনি। সেটি নিয়েই শুটিং করছিলেন শিহাব শাহীনের সেটে। উভয়ে ভেবেছিলেন, চোখের কোণায় ছোট্ট একটা গোটা থাকলেও সেটি ক্যামেরার চোখে খুব একটা সমস্যা হবে না।
সে আশা গুড়েবালি। আধাবেলা শুটিং করে নির্মাতা ঘোষণা দিতে বাধ্য হলেন প্যাক-আপের! অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে থামলো ঈদের টেলিছবি ‘নীল জলের কাব্য’র শুটিং। এটি শিহাব শাহীন নির্মাণ করছিলেন চ্যানেল আইয়ের জন্য।
ঘটনা মঙ্গলবারের (৯ মার্চ)। না, অঞ্জনি নিয়ে মেহজাবীনের শুটিং করতে কোনও সমস্যা হচ্ছিলো না। তবে বিভিন্ন দৃশ্যে নায়িকার ক্লোজ শট নিতে গেলেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলো ছোট্ট অঞ্জনি।
শিহাব শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ছোট্ট অঞ্জনিটি শুটিংয়ে তেমন বাধা হবে না। তাই ২য় দিনের মতো শুটিং শুরু করি। কিন্তু অনেক কারসাজি করেও লক্ষ্য করলাম, ক্লোজ শটে গেলেই পর্দাজুড়ে ভেসে ওঠে সেটি। এভাবে তো পর্দায় নায়িকাকে প্রেজেন্ট করা ঠিক না। তাই প্যাক-আপ করে দিলাম। বাঁচলে শুটিং অনেক হবে।’
‘নীল জলের কাব্য’ টেলিছবিটিতে মেহজাবীনের বিপরীতে আছেন আফরান নিশো।
নির্মাতার প্রতি প্রশ্ন ছিলো, এক অঞ্জনিতে ক্ষতি তাহলে কেমন হলো? ফের কবে শুটিংয়ে যাচ্ছেন। জবাবে বললেন, ‘দেখুন নায়িকার চোখে অঞ্জনি ওঠা মানে লক্ষ্মীর প্রতীক। এখানে ক্ষতিটা মুখ্য নয়। এটা ঠিক, যে গতি নিয়ে কাজটি শুরু করেছি, সেটি থামলো আপাতত। দেড় দিনে মাত্র ২৫ ভাগ কাজ করেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ে আবার কাজে নামবো। তবে তার আগে মেহজাবীনের অঞ্জনি মুছে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি। আগে সুস্থতা, পরে কাজ।’
চোখের পাপড়ি যেখান থেকে বের হয়, সেই রেখা ঘেঁষে যে লাল ছোট্ট দানা বা পুঁটুলি মাঝে মাঝে তৈরি হয়, তাকে চলতি কথায় অঞ্জনি বলে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে স্টাই বা হরডিওলাম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অঞ্জনি এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়