চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় তৎপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মামলার পরপরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে বুধবার বোট ক্লাবে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ গণমাধ্যমে এসেছে। সেখানে দেখা যায়, বোট ক্লাবে প্রবেশের সময় পরীমনি স্বাভাবিক ও সুস্থ থাকলেও বের হওয়ার সময় তিনি প্রায় অচেতন ও অসুস্থ ছিলেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাত ১২টা ২২ মিনিটের সময় ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে একটি কালো গাড়ি থামে। সেই গাড়িটির মালিক বোট ক্লাবের সদস্য তুহিন সিদ্দকী অমির। গাড়ির সামনের দরজা থেকে নামেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।পেছনের ডান পাশের দরজা দিয়ে বের হন গ্রেফতার হওয়া অমি, পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ও তার বোন বনি।
ক্লাবের বাইরের ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ক্লাবে ঢোকার সময় পরীমনি কালো টপস, জিন্সের প্যান্ট পরা ছিলেন। বনি লাল টপস, সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট এবং জিমি কালো হাতাকাটা গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট পরা ছিলেন। অমির পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট। শুধুমাত্র অমি ছাড়া বাকি সবাই মাস্ক পরে ক্লাবে প্রবেশ করেন।
রিসিপশনের ক্যামেরায় তাদের চারজনকে একসঙ্গে বারে ঢুকতে দেখা যায়। তখন রিসিপশন ডেস্কে ছিলেন দুইজন এবং ডেস্কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও একজন স্টাফ।
দেড় ঘণ্টা পর পরীমনিকে অচেতন অবস্থায় কোলে করে দৌড়ে বের হতে দেখা যায় জিমি ও একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে। পেছন আসেন অমিও। ক্লাবে অমির কালো গাড়িতে গেলেও পরীমনি ফিরেছেন সাদা রঙের একটি গাড়িতে। এ সময় অমি সাহায্য তো করেনইনি উল্টো শাসিয়েছেন সবাইকে।
সেখান থেকে রাত তিনটা ৫২ মিনিটে বনানী থানায় আসেন পরীমনি। ডিউটি অফিসারের রুমেও তাকে অসুস্থ দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পুলিশ গাড়িতে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পরীমনিকে।
ক্লাবের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকলেও ১৫ সেকেণ্ডের ফুটেজে ভাঙচুর ও পরীমনিকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে শোনা যায় নাসিরকে। পরীমনির দাবি, জোর করে তাকে মদ পান করানো হয়েছিল।
পুলিশ বলছে, পরীমনিকে নাসিরের কাছে তুলে দিয়েছিলেন অমি। পানীয়র সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে তাকে ধর্ষণচেষ্টা হয় সেখানে। বোট ক্লাবের সিসিটিভির ফুটেজে ঘটনার প্রমাণও মিলেছে।
পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন অমি ও নাসির।
পরীমনির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাসির ও অমিকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।
এদিকে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার তুহিন সিদ্দিকী অমির দুই সহযোগী বাছির ও মশিউর মিয়ার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশেষ অনুমতি ছাড়া বেআইনিভাবে পাসপোর্ট রাখার দায়ে তাদের প্রথমে আটক করা হয়। এরপর এ ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় অমি ও তার দুই সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়