গত ঈদে টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের গায়িকা হিসেবে অভিষেক হয়। দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে তাহসানের সঙ্গে ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি প্রচারের পর বেশ আলোচিত হয়। এরপর যেখানেই গেছেন, এই গানের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন ফারিণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গানটি ট্রেন্ডিংয়ে ছিল দিনের পর দিন। রেকর্ড পরিমাণ ভিউ হয় গানের ভিডিও।
তবে লন্ডনে গিয়ে ঘটল ভিন্ন ঘটনা। মঞ্চে গানটি গাইতে গিয়ে যেন খেই হারালেন ফারিণ। যেই গান প্রচারের পর আলোচনায় এসেছিলেন, মঞ্চে সেই গান বেসুরো গাওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়লেন। রীতিমতো ট্রলের শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি লন্ডনের মাইল অ্যান্ড স্টেডিয়াম মঞ্চে গান গেয়েছেন তিনি।
লন্ডনের মঞ্চে তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাজন নানাভাবে পোস্ট করেছেন। লিখছেন নিজেদের মতামতও।
মোকতার আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘পেশাদার গায়িকা না হয়ে গানের দাওয়াতে না যাওয়া ভালো। যে হারে গানের দাওয়াত গ্রহণ করা শুরু করেছে পেশাদার গায়িকারাও এভাবে করে না। নিজের ক্যারিয়ারের ঝুড়িতে হাজার হাজার গান পড়ে আছে, এমন গায়িকারাও দাওয়াতে যেতে দুবার ভাবেন। আর এই নতুন শিল্পী একটা গান গেয়ে ভাইরাল হয়ে এভাবে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না। নিজের ঝুলিতে আরও কিছু ভালো গান জমা পড়ুক, আস্তে ধীরে তারপরে যাওয়াটা উচিত ছিল—তাহলেই ট্রলের শিকার হতে হতো না।’ কেউ কেউ বলছেন, ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত ফারিণের গাওয়া গানটিতে অতিমাত্রায় অটো টিউন ব্যবহার করা হয়েছে।’
আদৃতা তাসনিম নামের একজন ফারিণের পক্ষ নিয়ে লিখেছেন, ‘লাইভে গান গাওয়া আর অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার ফারাক অনেক। লন্ডনে তিনি ভালোই গাইছেন গান কিন্তু সমস্যা ছিল মিউজিকে। লাইভে গান গাওয়ার আগে মিউজিক, স্কেল সব ঠিক করে মহড়া করে তারপর গাইতে হয়।’ আফসানা হক লিখেছেন, ‘হাতে মাইক্রোফোন নিলে শিল্পী হয় না, শিল্পী হতে হলে সাধনা করা দরকার।’
ফারিণ জাত অভিনয়শিল্পী শখের বশে একটা গান করেছেন, এটা নিয়ে এতটা সমালোচনা করার কিছু নেই মনে করছেন মনজুর বিন সুলতান নামের একজন।
তিনি লিখেছেন, ‘ফারিণ জাত অভিনেত্রী, কণ্ঠশিল্পী নন! শখের বশে একটা গান করেছেন “ইত্যাদি”র মতো প্ল্যাটফর্ম এবং ২ বা ৪ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের ইউটিউব চ্যানেল এবং তাহসান ও ফারিণের জনপ্রিয়তার কারণে গানটা দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। এমনিতে কোনো কিছু ভাইরাল হয় না, ভাইরাল করে নিতে হয়। সবশেষ কথা হলো লাইভ গান গাওয়া আর স্টুডিও রেকর্ডিং এক নয়। স্টুডিওতে ভুল গাইলে সংশোধন করা যায় বারবার। ভোকাল পিচ এডিট করে সুরে বসানো যায় কিছুটা! কিন্তু লাইভে কিচ্ছু করার থাকে না। বড় বড় রাঘববোয়ালেরাও লাইভে বেসুরো হয়ে যায়।’
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত গানের সঙ্গে লন্ডনে গাওয়া গানের সঙ্গে কেন এত সুরের ফারাক, সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি ফারিণ। তিনি তাঁর মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরই মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত রেইনবো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শেষে জানা গেল, তাঁর অভিনীত ‘ফাতিমা’ ছবিটি উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে। একই সঙ্গে ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য বিশেষ সম্মাননাও পেয়েছেন ফারিণ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়