এমন সৌভাগ্য পায়ে ঠেলেছেন! তাও আবার নয় নয় করে প্রায় দুই হাজার হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আর আট বছর পর বিটকয়েনরূপী সেই সৌভাগ্যকে ফিরে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন ব্রিটিশ যুবক। দ্বারস্থ হয়েছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের। কিন্তু, কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে রাতের ঘুম উধাও জেমস হাউওয়েলসের।
ওয়েলসের অন্তর্গত নিউপোর্টের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের এই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সালে তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে কোনো লগ্নি না করেই সাড়ে ৭ হাজার বিটকয়েন আয় করতেও সক্ষম হন জেমস। নিজের হার্ড ডিস্কে তা সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু, বিধি বাম! ২০১৩ সালে অফিস পরিষ্কারের সময় একটি বাতিল হার্ড ড্রাইভ ফেলতে গিয়ে ভুলবশত ওই যুবক ভার্চুয়াল কারেন্সির ডিস্কটিই ফেলে দেন । এখন তা নিয়ে হাত কামড়াচ্ছেন তিনি।
আজ থেকে ১২ বছর আগে জেমস যখন ওই বিপুল বিটকয়েন মাইনিং করেছিলেন, তখন তার তেমন কোনো মূল্য ছিল না। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভার্চুয়াল অর্থের দাম ৪০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক বিটকয়েনের দাম প্রায় ৩৬ হাজার ডলার। অর্থাৎ, একসময়ে জেমসের হাতে থাকা সেই বিটকয়েনের বর্তমান বাজারদর ২৮০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখেই মাথা ঘুরে গিয়েছে ‘হতভাগ্য’ যুবকের। আট বছর আগে নর্দমায় ফেলে দেয়া হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে এখন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার মনে করেন, ডিস্কের যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডে তথ্য সঞ্চয় থাকে, তার কোনো ক্ষতি হয়নি। ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা তা থেকে সহজেই তথ্য উদ্ধার করে দিতে পারবেন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়